আজ সোমবার, ২০শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৩রা জুন, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

গার্মেণ্টস শ্রমিকদের মজুরি পুননির্ধারণ করার দাবীতে সমাবেশ, বিক্ষোভ মিছিল

গার্মেণ্টস শ্রমিকদের মজুরি

গার্মেণ্টস শ্রমিকদের মজুরি

নিজস্ব প্রতিবেদক:

সরকারী শিল্প শ্রমিকদের মজুরির সাথে সঙ্গতি রেখে গার্মেণ্টস শ্রমিকদের মজুরি পুননির্ধারণ করা সহ শহিদ আমাজাদ হোসেন কামালের রক্ত বৃথা যেতে দেব না এই ব্যানারে সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে নারায়ণগঞ্জ জেলা শ্রমিক কর্মচারী সংগ্রাম পরিষদ।

শনিবার (৩ নভেম্বর) বিকেলে নারায়ণগঞ্জ চাষাড়ার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সমাবেশ এবং বি.বি রোডে বিক্ষোভ মিছিল প্রদর্শন করা হয়।

সমাবেশে উপস্থিত বক্তারা বলেন, যেই মানুষগুলো মাথার ঘাম পায়ে ফেলে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ণে সবচেয়ে বেশী ভূমিকা রাখছে, তাদের ঘরেই খাবার নেই। তারা মাথা গোজার ঠাঁই খুজে পায় না। বলতে লজ্জা লাগে, বাংলাদেশের সরকারী কর্মচারীদের বেতন বাড়ে, প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতির বেতন দ্বিগুন হয় অথচ যেই শ্রমিক গুলো সারাদিন পরিশ্রম করে তাদের যে পাওনা তা তারা পায়না। প্রথমে আমরা নূন্যতম মজুরী ৫হাজার টাকা করার কথা বললাম, সরকার করলেন ৩হাজার টাকা। তারপর বললাম ৮হাজার টাকা করতে তারা করলো ৫হাজার টাকা। বর্তমানে দাবী করলাম ১৬হাজার টাকা সরকার কৃর্তক ঘোষণা এলো ৮হাজার টাকা।

বক্তারা আরও বলেন, আমরা প্রধানমন্ত্রীর কাছে প্রশ্ন রাখতে চাই এই ৮হাজার টাকা দিয়ে ৪-৫জন সদস্যর পরিবার এই যুগে কীভাবে চলতে পারে। তাদের বাড়ী ভাড়া কত, তারা অন্ন জোগাড় করে কীভাবে? তারপর তো চিকিৎসা, বিনোদন আছেই। তাই বলছি অবিলম্বে আমাদের যে পাওনা তা আমাদের দেন। তা না হলে সরকারকে মনে করিয়ে দিতে চাই, শত শত শ্রমিকের রক্ত ও আমজাদ হোসেন কামালের জীবনের বিনিময়ে ২০০৩ সালের ৩নভেম্বর নারায়ণগঞ্জে সংগঠিত হয়েছিল এক ঐতিহাসিক শ্রমিক অভ্যুথান। এটাই ছিল গার্মেন্টস শ্রমিকদের সাড়া জাগানো প্রথম ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন। মালিক শ্রেণী গার্মেন্টস শ্রমিকদের সামনে মাথা নত করতে বাধ্য হয়েছিল। শ্রমিক শ্রেণী জেগে উঠেছিল সারা বাংলাদেশে। আবারও যদি দাবী আদায়ের জন্য আমাদের রাস্তায় নামতে হয় এর ফল কিন্তু মোটেও ভালো হবেনা।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, গার্মেন্টস শ্রমিক ফ্রন্টের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক সেলিম মাহমুদ, গার্মেন্টস ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি হাফিজুল ইসলাম, সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের জেলা সভাপতি আবু নাঈম খান বিপ্লব ও ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের জেলা সাধারণ সম্পাদক বিমল কান্তি দাস, গার্মেন্টস ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র নারায়ণগঞ্জ জেলার সভাপতি ইকবাল হোসেন, গার্মেন্টস শ্রমিক ফ্রন্ট জেলার সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম গোলক, বিপ্লবী নারী সংহতির নেতা রাশিদা বেগম, গার্মেন্টস শ্রমিক সংহতি জেলার সভাপতি অঞ্জন দাস, বিপ্লবী শ্রমিক সংহতি জেলার সভাপতি শহীদুল আলম নান্নু, শ্রমিক কর্মচারী ফেডারেশনের শ্রমিক নেতা হাবিবুর রহমান সহ অন্যন্য নেতৃবৃন্দরা।

স্পন্সরেড আর্টিকেলঃ